আমরা আর বইমেলায় যাব না : মুশতাক

অমর একুশে বইমেলাতে আর না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন খন্দকার মুশতাক আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন। মুশতাক বলেন, এবারের বইমেলায় আমার দু’টি বই প্রকাশিত হয়েছে। গত বছরেও আমার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে, এবারই প্রথম নয়। এবার বই প্রকাশ উপলক্ষ্যে গত ৭ তারিখ আমরা(স্ত্রী তিশাসহ) বইমেলায় যাই। সেখানে শত শত লোক আমার অটোগ্রাফসহ বই নিতে স্টলের সামনে ভিড় জমায়। সবাই আমাদের সাথে সেলফি তুলেছেন ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

তবে গতকাল ৯ ফেব্রুয়ারি ছুটির দিন থাকায় অনেক মানুষের সমাগম হয়। সেখানে আমাদের পাবলিশার্সের সামনে ব্যাপক ভিড় ছিল দর্শনার্থীদের। তারা আমাদের সাথে স্বেচ্ছায় স্ব-প্রণোদিত হয়ে ছবি তুলার ইচ্ছা পোষণ করে। মোটামুটি একটা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। কিন্তু ক্রমান্বয়ে লোকসংখ্যা এত বেড়ে যায় যে যারা বই কিনতে এসেছে তারা স্টলে ঢুকতে পারছিল না। মানুষের ভিড়ে আশপাশের স্টলে বই বিক্রিতে ডিস্টার্ব হচ্ছিল। এর মধ্যে অনেকে আবার আমাকে নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল। এর মধ্যে আবার কিছু বিরূপ স্লোগানও দিচ্ছিল কেউ কেউ বলেও যোগ করেন মুশতাক।

আরও পড়ুন:  প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন নাসার প্রধান

বইমেলা থেকে কেউ বের করে দেয়নি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি মনে করলাম যারা বই কিনতে এসেছে এই ভিড়ের কারণে তাদের সমস্যা হচ্ছে তাই স্বেচ্ছায় আমরা বইমেলা থেকে বের হয়ে যাই। আমাকে কেউ মেলা থেকে চলে যেতেও বলেনি বা বিতাড়িত করেনি। আমি স্বেচ্ছায় আমার স্ত্রীকে নিয়ে মেলা থেকে বের হয়ে যাই। যেহেতু অনেক লোক ছিল তাই মেলায় দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা আমাদের নিরাপত্তা দিয়ে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন।

আর বইমেলায় যাবেন না জানিয়ে ‍মুশতাক বলেন, মেলায় যেহেতু বই বেরিয়েছে সেগুলো পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়া দরকার এজন্য প্রকাশককে বলে আমরা বইমেলায় গিয়েছিলাম। কারণ আমরা আসলে যেহেতু অনেক লোকের সমাগম হয়। তবে এতে প্রকৃত পাঠকরা বই কিনতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাই আমরা আর মেলায় আসব না।

আরও পড়ুন:  আজ বছরের দীর্ঘতম রাত

উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে নিজের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট কলেজ শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন খন্দকার মুশতাক আহমেদ। তারা ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেছেন বলে জানান। তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *