প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইমেইলে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে দুইজনকে সৌদি আরব থেকে আটক করে দেশে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। সিটিটিসি জানায়, আটক দুজনের নাম দীন ইসলাম ও কবির হোসেন। কবিরের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে চাঁনপুরের নয়নপুরে ও দীন ইসলামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। পুলিশের দাবি তারা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
সৌদি কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষে ওই দুজনকে আটক করে জানিয়ে সিটিটিসি প্রধান বলেন, মামলার আসামি ও সহযোগীদের সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য পুলিশ সদর দফতর ইন্টারপোল ও ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেল ব্যবহার করা হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষে ওই দুজনকে আটক করে ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশে পাঠায়। পরে বিমানবন্দর থেকে সিটিটিসি তাদের গ্রেফতার করে। বর্তমানে তারা দুজন রিমান্ডে রয়েছে বলে জানান তিনি।
দীন ইসলামের কাছ থেকে হুমকি দেয়া ইমেইল অ্যাড্রেসটির রিকভারি মোবাইল নম্বরসহ একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সিটিটিসি। কবির হোসেন সৌদি আরবে এক অংশের যুবদলের সভাপতি ও দীন ইসলাম ওই কমিটির নেতা।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত বছরের ১৭ এপ্রিল বিকেল ৪টা ৫৯ মিনিটে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন সেন্টারের ইমেইলে একটি হুমকি সম্বলিত ইমেইল আসে। এতে লেখা ছিল— Prime Minister Sheikh Hasina will be shot at 4am on April 27. Bangladesh police do not have the power to prevent this attack. অর্থাৎ— ২৭ এপ্রিল ভোর চারটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গুলি করা হবে। বাংলাদেশ পুলিশের ক্ষমতা নেই এ হামলা ঠেকানোর।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, কবিরের পরিকল্পনায় দীন ইসলাম এ মেইল পাঠিয়েছে।গত ১৬ থেকে ১৭ বছর তারা সৌদি আরব থাকেন।একজন চাকরি ও অপরজন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।তারা বাংলাদেশে আসেন না। তৎক্ষণাৎ হুমকিবার্তার ভয়াবহতা, জাতীয় নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে ইমেইল দেয়ায় তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, গোপন অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইমেইল পাঠানো ব্যক্তির নাম ও তার অবস্থান নিশ্চিত হয় সিটিটিসির একটি চৌকস টিম।