বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে আগামী শুক্রবার

রাজধানীর সন্নিকটে কহরদরীয়া খ্যাত টঙ্গী তুরাগ নদের তীরে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে তাবলীগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলন। 

মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মহাসম্মেলনের ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা এটি। ইজতেমাকে সামনে রেখে এগিয়ে চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে সামিয়ানা টানানো, খুটি গাথা, বয়ান মঞ্চ, বিদেশীদের থাকার ব্যবস্থাসহ প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এবার ময়দানের বেশ কিছু অংশে সামিয়ানা টানানো হয়নি। এসব স্থানে মুসল্লিরা জেলাওয়ারী খিত্তায় অবস্থান নিয়ে সামিয়ানা টানিয়ে নিবেন। তবে পানি, বিদুৎ, গ্যাস, ছাতা মাইক স্থাপন, সিটি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণসহ অনেক কাজ এখনো বাকি রয়েছে।

তুরাগ নদের তীরে পশ্চিম পাশে মুসল্লিদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেও মুসল্লিরা অবস্থান নিয়ে বয়ান শুনতে পারবেন। মুসল্লিদের সেবায় ১৩ জোড়া বিশেষ ট্রেন থাকবে।

আরও পড়ুন:  জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর হবে গণভবন

২০২৪ সালের বিশ্ব ইজতেমা অগামী শুক্রবার শুরু হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্ব। এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ১১ই ফেব্রুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে উভয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।

আগত মুসল্লিরা জেলাওয়ারী খিত্তায় অবস্থান নিবেন। প্রতিবছরের মতো এবারও উর্দু ভাষায় বয়ান করা হবে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ও আরবী ভাষায় তর্জমা করা হবে।

কহরদরীয়া নদের তীরবর্তী ১৬০ একর জমি বিস্তৃত ময়দানের উত্তর পশ্চিমে তৈরি হয়েছে বয়ান (মেম্বর) মঞ্চ। এবং পশ্চিমপ্রান্তে কামাড়পাড়া বিজ্র সংলগ্ন বিদেশী মেহমানদের থাকার ঘর। আগত মুসল্লিদের  নদী পারাপারের জন্য সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচটি ভাসমান (পন্টুন) সেতু। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শত শত মুসল্লি সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। গতবারের মতো এবারও প্রথম পর্বে যোবায়ের অনুসারী মুসল্লিরা টঙ্গী ময়দানে ইজতেমার আয়োজন করছে।

এরপর মাঝে চারদিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সা’দ অনুসারীরা ইজতেমার আয়োজন করবে। আয়োজক কমিটির এক সূরা সদস্য ঢাকা গুলিস্থান সাফাই জামাত এর এক সাথী হাজী রেজাউল করমি বলেন, ইতোমধ্যে সামিয়ানা টানানো, খুটি গাথা, বয়ান মঞ্চ, বিদেশীদের থাকার ব্যবস্থাসহ প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে।

আরও পড়ুন:  মেট্রোরেলে এখন প্রতিদিন তিন লাখ মানুষ চলাচল করছেন

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি করর্পোরেশনের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক মেয়র অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে আগত মুসল্লিদের সেবায় সিটি কর্পোরেশন এর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বর্তমান সরকারের পর্যবেক্ষনে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগত মুসল্লিদের সেবায় সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *