সংবাদ প্রকাশের বার্তা সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক ওমর ফারুক শামীম মারা গেছেন।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

জানা গেছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওমর ফারুক শামীম মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। রাতেই তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়িতে নেওয়া হয়।  মৃত্যুকালে সাংবাদিক ওমর ফারুক শামীম পরিবারে স্ত্রী, পুত্র ও মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বাদ যোহর নামাজের পর খাগড়াছড়ি কোর্টবিল্ডিং সংলগ্ন কালেক্টরেট জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাযা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব, খাগড়াছড়ি জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, কেইউজে, টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনসহ স্থানীয় সংবাাদকর্মীরা তাকে শ্রদ্ধা জানান।

আরও পড়ুন:  স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক

ওমর ফারুক দৈনিক জনকণ্ঠের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এ ছাড়া তিনি প্রতিদিনের সংবাদ, বাংলাদেশের খবর, জাগরণ, দিন পরিবর্তন, ভোরের আকাশ, বাংলাদেশ বুলেটিনসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি সংবাদ প্রকাশের বার্তা সম্পাদক ছিলেন।

তিনি ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। এছাড়া খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

সাংবাদিক ওমর ফারুক শামীমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক আবু তাহের মুহাম্মদ,জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তরুন কুমার ভট্টচার্য্য,টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন এর সাধারন সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল, কেইউজে এর সভাপতি প্রদীপ চৌধূরী, সাধারন সম্পাদক সৈকত দেওয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদারসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তিনি  ১৯৭২ সালে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।  পরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা মেরুং রসিক নগর গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *