রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকালের নির্বাচন নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। কে কোথায় ভোট দিবে কাকে ভোট দিবে তা নিয়ে কথার শেষ নেই। নির্বাচনী প্রচার শেষ করে এখন শুধু ভোটের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচন পরিস্থিতি ভোট দান ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.সেলিনা আখতার।
ভোট কোথায় দিচ্ছেন ?
চট্টগ্রাম- (৯) আসনে এবারের ভোট দিবো।
ভোট নিয়ে আপনার ভাবনা কেমন?
অনেক জায়গায় ঘুরে আমার মনে হচ্ছে,জনগণ স্বর্তফূর্ত ভাবে ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। যে যেই প্রতীক পছন্দ করে তারা তাকেই ভোট দিতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। যেহেতু আমি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছি তাই আমি মনে করি এখানে কোন বাঁধা বিপত্তি ভয় ভীতি থাকবে না, খুব সুন্দর স্বাভাবিক ও আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দান উৎসব চলবে। মানুষ আজ মন থেকেই নৌকাকে পছন্দ করছে। বাঙালি নিজেই নৌকাকে ভোট দিতে চাচ্ছে। বাঙালির ভিতরে নৌকার প্রতি আলাদা ভালোবাসা ঢুকে গেছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এটার ছন্দপতন করা যাবেনা। উন্নয়ন দ্বারা বাঙালি মুগ্ধ,তাই তারা আর অন্য কিছু ভাবতে চায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরুণ ভোটারদের উদ্দেশ্যে বিশেষ কোনো বার্তা থাকবে কিনা?
আজকের তরুণ আগামীদিনের কাণ্ডারি। ভোট দেয়াটা আনন্দের। যে যেই প্রতীক পছন্দ করে সে সেই প্রতীককে বেছে নিবে। এই ভোট দানের মধ্য যে শান্তি, দেশকে গড়তে ভোটের যে প্রয়োজনীয়তা এটাই তাকে মহৎ করবে। ভোট দেয়ার মধ্যে দিয়ে দেশকে স্বীকার করার,ভালোবাসার মনোবল জেগে উঠবে। ভোট দিয়ে নিজের অধিকার ও দামকে প্রমাণ করার জন্য প্রত্যেক তরুনকে ভোট দেয়া উচিত। ভোট একটা নৈতিক অধিকার। এটা যেন খর্ব না হয়। সবাই ভোট দিক যাকে খুশি তাকে দিক।
নির্বাচন নিয়ে আপনার কোনো পরামর্শ?
নেতাদের প্রতি আমার একটি অনুরোধ তারা যেন তাদের নির্বাচনে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। তারা যেন তাদের প্রতিশ্রুতি কে ভুলে না যায়। বাংলাদেশের জনগণের উচিত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে থেকে নিজেদের অধিকার চেয়ে নেয়া। আর যদি চেয়ে না পায় তাহলে যিনি সরকার গঠন করবেন বা প্রধানমন্ত্রী হবেন তার কাছে গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নালিশ করা।