সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে ভোটের সামগ্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কাল। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে কমিশন। শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় এবার ২৯৯ আসনে ভোটের মাঠে লড়বেন ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সব মহলেই প্রশংসিত হবে এবারের ভোট।

কারা পাচ্ছেন আগামী পাঁচ বছর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব? কারা আসছেন সংসদে জনগণের প্রতিনিধি হয়ে? সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে ৭ জানুয়ারি ভোটের লড়াই শেষে।

নওগাঁয় এক প্রার্থীর অসুস্থতাজনিত মৃত্যুতে ওই আসনের ভোট স্থগিত থাকায় এবার নির্বাচন হবে ২৯৯ আসনে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৪২ হাজারের বেশি কেন্দ্রে চলবে ভোট গ্রহণ। এর মধ্যে ১০ হাজার ৩০০ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন:  দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

 

এবার প্রায় ১২ কোটি ভোটারের অংশগ্রহণে যে নির্বাচন হবে তাতে প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন- এমন নতুন ভোটারের সংখ্যা দেড় কোটি। এর বাইরে আছে আরও এক কোটি বয়সে তরুণ ভোটার; নির্বাচনী ফলাফলে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দল অংশ না নেয়ায় ভোট উৎসবমুখর হবে কিনা এমন প্রশ্ন উঠলেও এরইমধ্যে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জমিয়ে তুলেছেন নির্বাচনী মাঠ। ২৮টি রাজনৈতিক দলের ১ হাজার ৫শ’৩৪ জন প্রার্থীর পাশাপাশি এবার স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন ৪৩৬ জন প্রার্থী।

এদিকে ভোটারদের জন্য অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে প্রথমবারের কমিশন চালু করেছে স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ। এই অ্যাপ ব্যবহার করেই ভোট চলাকালীন ভোটার ও প্রার্থীরা জানতে পারবেন নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়েছে। জানা যাবে ভোটার এলাকা, ভোটকেন্দ্রসহ নির্বাচন সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য।

আরও পড়ুন:  বিমানবন্দরে তিন স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা

ভোট পর্যবেক্ষণে এরই মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন ১৮৬ জন বিদেশী পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক। একইসাথে দেশের ২০ হাজার ৭৭৩ জন পর্যবেক্ষককেও অনুমোদন দিয়েছে ইসি।

শুক্রবার সকাল আটটায় প্রচারণা শেষ হওয়ায় ভোটের মাঠ এখন নীরব হলেও নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছে বিজিবি ও সেনাবাহিনী।

জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫১টি বা তার বেশি আসনে যে দল জয়ী হয় তারাই সরকার গঠন করে। জোটগতভাবেও দেড়শ’র বেশি আসন নিয়ে ৫ বছরের জন্য সরকার গঠন হতে পারে।

নির্বাচন উপলক্ষে রাত ১২টা থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিক-আপ, মাইক্রোবাস, ট্রাক এবং ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কমিশন। তবে চলবে প্রাইভেট কার ও গণপরিবহন।

আরও পড়ুন:  ডি-৮ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস

এদিকে সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে ভোটের সরঞ্জাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *