একসঙ্গে সাত বউ নিয়ে সংসার করছেন কুষ্টিয়ার রবিজুল

একটি দুটি নয় সাত সাতটি বউ নিয়ে সংসার করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন কুষ্টিয়ার রবিজুল হক। এর মধ্যে গত তিন মাসেই তিনটি বিয়ে করেছেন তিনি। রাষ্ট্রীয় আইন এবং ইসলাম ধর্মীয় বিধানে থেকে একসঙ্গে ৭ বউ নিয়ে সংসার করার সুযোগ না থাকলেও সবাইকে নিয়ে সুখে আছেন ওই যুবক।

বিয়ে পাগল রবিজুলের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি মিয়াপাড়া এলাকায়। তার ভাষ্য মতে মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বালুচর গ্রামের কিশোরী রুবিনা খাতুনকে।

বিয়ের দু’বছরের মাথায় এই কিশোর-কিশোরী দম্পতির এক পুত্র সন্তান হয়। পরে বউ ও সন্তান বাড়ি রেখে লিবিয়া পাড়ি জমান রবিজুল হক। সেখানে টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
পরে লিবিয়াতে কর্মরত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যুবতী হেলেনা খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি। ১২ বছর পর দেশে ফিরে একে একে আরও ৫টি বিয়ে করেন রবিজুল। এর মধ্যে গত ৩ মাসে করেছেন তিন বিয়ে।

আরও পড়ুন:  প্যারিস অলিম্পিকে বিচ্ছেদের পর স্বর্ণ জিতলেন যুগল

রবিজুল হক বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। জীবনে শখ ছিল ৭টি বিয়ে করবো। সেই শখ পূরণ হয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রথম বিয়ে, এর ৭ বছর পর লিবিয়াতে দ্বিতীয় বিয়ে। তিন বছর সেখানে থেকে দেশে ফিরে আসি। কিছুদিন পর যেয়ে একটানা ১২ বছর। প্রথম স্ত্রীকে সেখানে নিয়ে যাই, মেঝজন সেখানেই ছিল। ১২ বছর পর একসঙ্গে দেশে চলে আসি। তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নাই, সবাই বোনের মত। সবাই একসঙ্গে বেড়াতে ও মার্কেটে যায়।”

৩৮ বছর বয়সী রবিজুল হকের দাবি, বাবা-মায়ের করা মানত রক্ষার জন্য তিনি ৭টি বিয়ে করেছেন। রবিজুল বলেন, “বাবা-মা’র মানত ছিল। শেষের বিয়েটিতে আমার ৪ স্ত্রী গিয়ে স্বাক্ষী দিয়ে বিয়ে করান। সবাই দোতলা এক বাড়িতে বসবাস করছেন। কোনো ঝামেলা নাই। সবাইকে আমি এক নজরে দেখি। সাতজনের জন্যই একই নিয়ম, বাজারঘাটও সেভাবেই হয়। বড় স্ত্রীর ২টি ছেলে, মেঝর এক ছেলে এক মেয়ে, সেজ স্ত্রীর ১ মেয়ে।”

আরও পড়ুন:  নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তবে রবিজুলের ৬ স্ত্রী নিজেদের সুখী মনে করলেও প্রথম স্ত্রী রুবিনা মনে কষ্ট নিয়ে সংসার করছেন।

রবিজুলের প্রথম স্ত্রী রুবিনা বলেন, “মনের খারাপ কে আর দেখে, উপরের সবকিছুই ভালো। তবে ঝই-ঝামেলা নেই, ভালো আছি।”

সাত বউ নিয়ে সংসার করা ইসলামী বিধানে সম্মত না হলেও রবিউল তাদের নিয়ে সুখে সংসার করছেন এই কারণে এলাকার মানুষ এসব বিষয়ে কোন প্রশ্ন তোলেন না।

এক এলাকাবাসী জানান, শুনে কিছুটা সংশয় লেগেছে তাই দেখতে গিয়েছিলাম। দেখে ভালো লাগলো, সবাই মিলেমিশে আছে। এটাই অভাব লেগেছে যে, স্বামীর ভাগ তো আসলে কেউ দিতে চায়না। এখানে সাত বউ নিয়ে সে সুখে আছে। স্ত্রীরা সবাই মিলেমিশে আছে, বোনের মতো একজন আরেকজনকে দেখছে। আসলে এটা বিরল ঘটনা।

আরও পড়ুন:  কবি নজরুল: স্মরণীয় আদর্শের নাম

রবিজুল এখন পর্যন্ত ৫ সন্তানের জনক, তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজ ভিটায় দোতলা বাড়ির পাশে নতুন ঘন নির্মাণ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *