বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম। আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে দেশ ও জাতির ভাগ্যন্নোয়নে কাজ করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ ভাগ অর্জিত হয় বস্ত্রখাত থেকে। জিডিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ১৩ শতাংশ । তৈরি পোশাক খাতে প্রায় ৪৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে যার ৫৩ শতাংশ নারী। পরোক্ষভাবে প্রায় ৪ কোটিরও বেশি মানুষ এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল।

আগামীকাল জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বস্ত্র কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ বস্ত্রশিল্পকে সহায়তার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ নিরাপদ, টেকসই, শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতা সক্ষম বস্ত্রখাত গড়ে তুলতে আমরা ‘বস্ত্রনীতি, ২০১৭’, ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ এবং ‘বস্ত্রশিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করেছি।’

আরও পড়ুন:  টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

তিনি বলেন, আগামীকাল দেশব্যাপী ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২৩’ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত এবং এ উপলক্ষ্যে ক্রোড়পত্র প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট টেক্সটাইলে সমৃদ্ধ দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই বস্ত্রশিল্পে বাংলাদেশের সুনাম ছিল গৌরবময় এবং জগদ্বিখ্যাত। ঢাকাই মসলিন থেকে শুরু করে জামদানি আর বেনারসি এ দেশের বস্ত্রশিল্পের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। বস্ত্রখাত দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে ভূমিকা রেখে চলছে। স্বাধীনতার পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁত শিল্পের উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭২ সাল থেকেই তাঁত শিল্পের মান উন্নয়নের পাশাপাশি বস্ত্রখাতকে সমৃদ্ধ করার নানামুখী প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন:  সাবেক ৮ এমপি ও ১৮ মন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

তিনি বলেন, বস্ত্রশিল্পকে সহায়তা ও প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বস্ত্র অধিদপ্তরকে পোষক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর বস্ত্রশিল্প গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তর এখাতে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করছে। পাশাপাশি আমাদের সরকার এখাতে রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টিতে কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রায় বস্ত্রখাত সংশি¬ষ্ট সকল অংশীজন পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রেখে এ খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকরি ভূমিকা রাখবে। তিনি ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

আরও পড়ুন:  ঈদের পর মেট্রো চলবে নতুন সূচিতে

সূত্র: বাসস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *