তালিকা ধরে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসীদের তালিকা করে সে অনুযায়ী গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।

ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ৩০০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান। নির্দেশনায় সুনির্দিষ্ট পাঁচটি বিষয় নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

> সব শ্রেণীর ভোটার যাতে তাদের ভোটাধিকার অবাধ ও নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারেন, তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও স্থানীয় আস্থাভাজন কর্মীদের সঙ্গে সত্বর একটি এবং প্রয়োজনবোধে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে।

আরও পড়ুন:  মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জলদস্যুরা

আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আইন ও বিধিগত দিক উল্লেখপূর্বক সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করতে হবে। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা অবিলম্বে তদন্তপূর্বক প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

> নির্বাচনী এলাকার সব স্তরের ভোটারদের এবং বিশেষ করে নারী ভোটারদের নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যকলাপ সম্পর্কে যেন সব শ্রেণীর ভোটার আগে থেকে নিশ্চিত হতে পারেন, তা উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে।

> ভোটকেন্দ্র এবং ভোটকক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সব বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার পরিচালনা জোরদার করতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রণয়নপূর্বক চাঁদাবাজ, মাস্তান ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করতে হবে।

> পর্যাপ্ত সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে মোতায়েনসহ চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেশি সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে।

আরও পড়ুন:  দেশে বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কা করছি : পলক

> অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা যাতে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা মেনে চলেন এবং কোনো তিক্ত, উস্কানিমূলক ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যকলাপ বা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন কিংবা অর্থ, পেশিশক্তি অথবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত না করতে পারেন এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক যেন বজায় রাখা হয়, তার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মহলের সহযোগিতা কামনা করতে হবে এবং প্রয়োজনবোধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে দুই হাজার ৭১২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *