আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা শোকজের জবাব দিয়েছেন মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
শুক্রবার বিকাল ৩টা ৪৫মিনিটে মাগুরা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদারের কার্যলয়ে হাজির হয়ে জবাব দেন তিনি।
সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সাকিব বলেন, ‘প্রথমবার যেহেতু আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি, তো স্বাভাবিকভাবেই ভুলত্রুটি হতেই পারে আমার অজান্তে। সেগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। সব নিয়মকানুন জানব, পড়ব, বুঝব। তারপর যদি হয়, সেটা আমার দোষ হতে পারে। এখন যেটা হয়েছে, নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত। এমন ঘটনা যেন সামনে না ঘটে, বিষয়টি খেয়াল রাখব।’
এ বিষয়ে সাকিব আল হাসানের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম বলেন, ২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। ওইদিন সাকিবকে দেখতে কামারখালী এলাকায় তার ভক্ত ও স্থানীয়রা ভিড় করেন। তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। কিংবা দলীয় কাউকে তিনি ডাকেননি। আমরা নোটিশের জবাবে এসব কথা উল্লেখ করেছি। ভবিষ্যতে আমরা এসব বিষয়ে সতর্ক থাকব। আইন মেনে চলব।
বৃহস্পতিবার মাগুরা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে তলব করেন। তাকে শুক্রবার অনুসন্ধানী কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সাকিব আল হাসান কামারখালী এলাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে ঢোকেন। তিনি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এতে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।