চমক দেখাতে চান তৃণমূলের প্রিয়মুখ আমিনুল ইসলাম আমিন

আমিনুল ইসলাম আমিন। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে। এর আগে দু’বার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। এসব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে টেলিভিশনে নিয়মিত টকশো এবং আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠান উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে তিনি দেশবাসীর নজর কাড়েন। পাশাপাশি নিজের যোগ্যতা ও সক্ষমতার পরিচয় দেন ক্লিন ইমেজের এ রাজনীতিবিদ।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, আমি দলের দুঃসময়ে সবসময় রাজপথে ছিলাম, আছি। ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে গিয়ে নির্যাতন সইতে হয়েছে, জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। সেসব মোকাবিলা করে রাজনীতি অব্যাহত রেখেছি। ওয়ান-ইলেভেনে নেত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার মুক্তি আন্দোলনে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেছি, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং দলের প্রতি নিজের অকুণ্ঠ সমর্থন ও আস্থার প্রমাণ দিয়েছি বারবার। সেসব বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাকে রাজনৈতিকভাবে মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দিয়েছেন। তার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। এবার দলের সমর্থন ও ভোটারদের ভোট পেয়ে জনগণের জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চাই।

দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলেও আলহামদুলিল্লাহ, না দিলেও আলহামদুলিল্লাহ। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, কেন্দ্রীয় নেতা বা বড় কিছু হলেই কাউকে দলীয় মনোনয়ন দিতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের প্রতি প্রার্থীর ত্যাগ-অঙ্গীকার, নৈতিকতা ও আদর্শ এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়গুলো প্রধান বিবেচনার বিষয়। বিশেষ করে চট্টগ্রামের মতো জায়গায় দলীয় ভোটে এমপি হওয়ার সুযোগ নেই।

দলের দুঃসময়ে সবসময় ঝুঁকি নিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সাতকানিয়া উপজেলাকে ২০০৩ সালে জামায়াত-শিবির মৃত্যু উপত্যকা বানিয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কেউই তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। সেসময় দলের নেতাকর্মীদের সাহস জুগিয়েছি, জামায়াত-শিবির মোকাবিলা করেছি এবং জনগণের জন্য কাজ করেছি। ২০১৪ সালে জামায়াতের তাণ্ডবে তখন এই জনপদ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল, তখনও আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে ছিলাম।

আরও পড়ুন:  অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের আরেকটি দল আসছে

চলতি বছর সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় ভয়াবহ বন্যা হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, তখন আমি নিঃস্বার্থভাবে এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম। শুধু তখন নয়, এলাকার মানুষের বিপদে-আপদে সবসময় আমি পাশে ছিলাম। তাই আমি মনে করি, নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষ কখনো বঞ্চিত হবেন না। এখানে এমপি হতে হলে সর্বস্তরের ভোটারের ভোট পেতে হবে। অর্থাৎ সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। সেই বিবেচনায় আমি নিজেকে যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করি।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন, ২০৪১ সাল পর্যন্ত যে রূপকল্প, তা বাস্তবায়ন করতে পারলেই সবার জীবনমান উন্নত হবে। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট ইকোনমি তৈরি হবে। ওই পরিস্থিতিতে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার শিক্ষিত তরুণদের কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করব।

নিজ এলাকা সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় রয়েছে আমিনুল ইসলামের বিশাল কর্মী বাহিনী। এসব কর্মী নিয়ে তিনি চমক দেখাতে চান সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার ভোটের মাঠে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্য নিয়ে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তিনি।

এর আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমেই হয় আমিনুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবনে হাতেখড়ি। আশির দশকে চট্টগ্রাম মহানগরের একটি ওয়ার্ড ইউনিট থেকে শুরু করেন রাজনীতি। পরবর্তীতে মহানগর ও কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পরপর তিনবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নাম লেখাতে সক্ষম হন তিনি।

ছাত্ররাজনীতি শেষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে যুক্ত হন আমিন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমিনুল ইসলাম আমিনের অভিষেক হয় ২০০৯ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত ১৮তম সম্মেলনে কার্যকরী কমিটির সদস্য হওয়ার মধ্য দিয়ে। এরপর তিনি দলটির কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হন।

এরপর ২০১২ সালে সদস্য, ২০১৬ সালে উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ২০১৯ সালে ফের উপ-প্রচার সম্পাদক মনোনীত হন তিনি। এবারের ২২ তম সম্মেলনে তাকে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক করা হয়।

আরও পড়ুন:  ভারতের কাছে বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত দিয়ে হারল পাকিস্তান

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আমিনুল ইসলাম আমিনের বিশাল কর্মী বাহিনীর পাশাপাশি রয়েছে শক্ত অবস্থান। কথিত আছে, তার প্রভাবে ২১তম আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কমিটি ঘোষণার একদিন পর তাকে পূর্বের পদে বহাল রেখে নাম ঘোষণা করা হয়। তবে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনে তাকে পদোন্নতি দিয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক করা হয়। রাজনীতিবিদরা বলছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় মনোনয়ন দিলে নৌকার টিকিট পাবেন আমিন।

অপরদিকে বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী ২০১৪ সাল থেকেই টানা দুই মেয়াদে এই আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন জাতীয় সংসদে। এলাকায় তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনারও শেষ নেই। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক মাঠে করা বিতর্কিত বক্তব্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দল রয়েছে তার। যেটি চট্টগ্রাম-১৫ আসনে এখন ওপেন সিক্রেট।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, আমি দলের দুঃসময়ে সবসময় রাজপথে ছিলাম, আছি। ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে গিয়ে নির্যাতন সইতে হয়েছে, জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। সেসব মোকাবিলা করে রাজনীতি অব্যাহত রেখেছি। ওয়ান-ইলেভেনে নেত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার মুক্তি আন্দোলনে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেছি, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং দলের প্রতি নিজের অকুণ্ঠ সমর্থন ও আস্থার প্রমাণ দিয়েছি বারবার। সেসব বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাকে রাজনৈতিকভাবে মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দিয়েছেন। তার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। এবার দলের সমর্থন ও ভোটারদের ভোট পেয়ে জনগণের জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চাই।

দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলেও আলহামদুলিল্লাহ, না দিলেও আলহামদুলিল্লাহ। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, কেন্দ্রীয় নেতা বা বড় কিছু হলেই কাউকে দলীয় মনোনয়ন দিতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের প্রতি প্রার্থীর ত্যাগ-অঙ্গীকার, নৈতিকতা ও আদর্শ এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়গুলো প্রধান বিবেচনার বিষয়। বিশেষ করে চট্টগ্রামের মতো জায়গায় দলীয় ভোটে এমপি হওয়ার সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন:  ভারত নিজেদের স্বার্থেই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আসতে দেবে: প্রধান উপদেষ্টা

দলের দুঃসময়ে সবসময় ঝুঁকি নিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সাতকানিয়া উপজেলাকে ২০০৩ সালে জামায়াত-শিবির মৃত্যু উপত্যকা বানিয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কেউই তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। সেসময় দলের নেতাকর্মীদের সাহস জুগিয়েছি, জামায়াত-শিবির মোকাবিলা করেছি এবং জনগণের জন্য কাজ করেছি। ২০১৪ সালে জামায়াতের তাণ্ডবে তখন এই জনপদ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল, তখনও আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে ছিলাম।

চলতি বছর সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় ভয়াবহ বন্যা হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, তখন আমি নিঃস্বার্থভাবে এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম। শুধু তখন নয়, এলাকার মানুষের বিপদে-আপদে সবসময় আমি পাশে ছিলাম। তাই আমি মনে করি, নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষ কখনো বঞ্চিত হবেন না। এখানে এমপি হতে হলে সর্বস্তরের ভোটারের ভোট পেতে হবে। অর্থাৎ সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। সেই বিবেচনায় আমি নিজেকে যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করি।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন, ২০৪১ সাল পর্যন্ত যে রূপকল্প, তা বাস্তবায়ন করতে পারলেই সবার জীবনমান উন্নত হবে। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট ইকোনমি তৈরি হবে। ওই পরিস্থিতিতে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার শিক্ষিত তরুণদের কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *