নির্বাচন বানচালের পরিণতি ভালো হবে না: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি-জামায়াত জোটকে হুঁশিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না। আইনে ৮২টি সংশোধনসহ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আওয়ামী লীগ যাবতীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছে, বিএনপি অতীতেও নির্বাচন বন্ধ করতে সহিংসতা ও অপপ্রচার চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নৌকার মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহিংসতার পথে ফিরে গিয়ে আবার বিএনপি-জামায়াত জনবিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জনগণের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। এভাবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে কঠিন পরিণতি ডেকে আনছে তারা।

অতীতের মতো মনোনয়নের ব্যবসার উদ্দেশ্যে হলেও বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সক্ষমতা দেখতে চায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কোন বিদেশী শক্তির তাঁবেদারি করে না বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন:  মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক রয়েছে বিজিবি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তিনি বলেন, নির্বাচনে আসার মতো আত্মবিশ্বাস তাদের নেই। কারণ ২০০৮ নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছে। আর আমরা দেশ পরিচালনা করে মানুষের আস্থা অর্জন করেছি। আমরা ভোটে অনেক এগিয়ে। এটা জেনেই তারা নির্বাচনে না এসে, নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে।

দেশবাসীকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তখনই বিভিন্ন সংস্কার করেছে। যাতে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়। জনগণ তার ভোট দিতে পারে, যাতে জনগণ তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আমরাই স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা এবং জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন করা, সেগুলো আওয়ামী লীগই করেছে।

আরও পড়ুন:  পদ্মা রেল সংযোগে ট্রেন চলাচল শুরু ২৪ ডিসেম্বর

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসক সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে কোনো অফিসার বদলি করা, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি, এগুলো নির্বাচন কমিশনারের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না। যদি নির্বাচন কমিশন চায় তখন সেটা পরিবর্তন করা যায়, তাছাড়া করা যাবে না।

পর্যায়ক্রমে ৩০০ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আগামী কয়েক দিন বৈঠক করবে দলটি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন মোট ৩ হাজার ৩৬২ জন।

খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর– এ তিনটি বিভাগে কে হচ্ছে নৌকার কান্ডারী সে সিদ্ধান্ত নিতে আজ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *