ভরা মওসুম সত্ত্বেও পর্যটকশূন্য কক্সবাজার

রাজনৈতিক অস্থিরতার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে। ভরা মওসুম সত্ত্বেও কমেছে পর্যটকদের আনাগোনা। খালী হোটেল-মোটেলগুলো। পর্যটক কমায় আর্থিক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীসহ এখাতের সংশ্লিষ্টরা।

অক্টোবর থেকে শুরু হয় কক্সবাজারের পর্যটন মওসুম। লাখো পর্যটকে মুখর থাকে সাগরতীর। তবে এবারে চিত্র ভিন্ন।

মওসুমের শুরুতেই বিএনপি-জামায়াতের সমাবেশ, হরতাল আর অবরোধের ধাক্কা লেগেছে পর্যটন খাতে। আগের মতো ভিড় নেই সৈকতজুড়ে। লাখো পর্যটকের সংখ্যা নেমেছে মাত্র কয়েক হা

এমন পরিস্থিতিতে ছাড়সহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পরও পর্যটক পাওয়া যাচ্ছে না। প্রত্যাশিত পর্যটক না থাকায় ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা।

হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, “অবরোধের পর থেকে পর্যটকশূন্য হয়ে আছে। কক্সবাজারে পর্যটক নাই বললেই চলে, সামান্য কিছু পর্যটক আছে। এভাবে চললে পর্যটক শিল্প মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হবে।”

আরও পড়ুন:  অতিরিক্ত টাকার পেছনে ছোটা মানসিক রোগ : ডা. এজাজ

যারাই বা ঘুরতে এসেছেন অজানা শঙ্কায় তারা। বিপাকে সৈকতপাড়ের ফটোগ্রাফার, বিচ বাইকার, ওয়াটার বাইকারসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

পর্যটকরা জানান, আতঙ্ক তো আছেই। অবরোধ না হলে সবাই এসে আনন্দ করতে পারতো। ফ্যামিলি থেকে বার বার ফোন আসতেছে, চলে আস চলে আস।

গেল এক সপ্তাহে কক্সবাজারের পর্যটন খাতে শত কোটি টাকা ক্ষতি হওয়ার দাবি এই ব্যবসায়ী নেতার।

কক্সবাজার চেস্বার অব ইন্ড্রাস্ট্রি সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, “এই ধরনের অবরোধ চলতে থাকলে এই ভরা মওসুমে পর্যটন শিল্পে যে ধস নামবে আগামী ১০ বছরেও তা পুষিয়ে ওঠা যাবেনা।”

পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে এ খাতকে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচির বাইরে রাখার দাবি পর্যটক-ব্যবসায়ীসহ সবার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *