‘বাঙালি জাতির ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কারণেই ভোট ও ভাতের অধিকার পেয়েছে জনগণ। বাঙালি জাতির ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে বাঁশি বাজিয়ে সবুজ পতাকা উড়িয়ে রেল যোগাযোগ উদ্বোধনের আগে সুধী সমাবেশে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বিধ্বস্ত দেশ গড়তে চেয়েছিলেন জাতির জনক। ১৫ আগস্টে সে সম্ভাবনা হারিয়ে যায়। ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলো কেউই মানুষের জন্য কাজ করেনি। অথচ সাড়ে ১৪ বছরেই বদলে গেছে বাংলাদেশ।

ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন, মূল্যস্ফিতি-সহ নানা প্রতিকূলতার কারণে খাদ্যের অভাব ঠেকাতে প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলানোর আহবান প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘সারের দাম আমরা কমিয়েছি। ভর্তুকি দিয়েছি। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। কারও কোনো সমস্যা হলে আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের পাশে দাঁড়ান। এভাবে আমরা মানুষের উন্নয়ন করছি।’

আরও পড়ুন:  অর্থপাচার ও জঙ্গি অর্থায়ন রোধে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি

২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় পুনরায় ব্যক্ত করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বলেন, আর কেউ এ দেশে হতদরিদ্র থাকবে না। ভূমি থাকবে, জীবন জীবিকাও থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারও কাছে হাত পেতে নয়, কারও কাছে মাথা নিচু করে নয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সবাই তার আদর্শে মাথা উঁচু করে বাঁচবো সবাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে পিছিয়ে নেবার বহু চেষ্টা হয়েছে, হচ্ছে।  আমরা ঠিক থাকলে, কোন শক্তিই ঠেকাতে পারবে না। এ সেতু নিয়েও ষড়যন্ত্র কম হয়নি। দাবায় রাখতে পারেনি, পারবে না। ভোটের কথা বলে, কিছু শক্তি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। জাতিকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচনের কথা বলে আর আমাদের ক্ষমতা থেকে হটানোর কথা বলে, তারা কখনও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না। ভোট চুরির মাধ্যমেই তারা ক্ষমতায় এসেছিল।

আরও পড়ুন:  গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা বিশ্বনেতাদের

ইউনূসকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এক ভদ্রলোক, বিশ্নখ্যাতিও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সামান্য একটা ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে পারবে না বয়সের কারণে- সেটা বলার জন্য পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করেছিলেন। তখন বলেছিলাম- নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু গড়বো। জাতির পিতা বলেছিলেন, বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা করে দেখিয়েছি।’

নতুন এই রেলপথ দেশীয় সংযোগের পাশাপাশি আন্তদেশীয় রুট-ট্রান্স এশিয়ান নেটওয়ার্ক কড়িডোরকে যুক্ত করবে। এ যাত্রায় সবাইকে শরিক হবার আহবান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *