মোহাম্মদ ফয়সাল আলম:

বৈশ্বিক উষ্ণতা বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং একটি গভীর এবং চলমান সমস্যা যা আমাদের পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য, বাস্তুসংস্থান এবং মানব সমাজকে প্রভাবিত করছে। এটি বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত পরিবেশগত ইস্যুগুলির মধ্যে অন্যতম। বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে মেরুপ্রদেশের বরফ গলে যাচ্ছে, যা সারা বিশ্বের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় হুমকি।

বৈশ্বিক উষ্ণতা হলো পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার দীর্ঘমেয়াদি বৃদ্ধি, যা মূলত মানবসৃষ্ট গ্রীনহাউস গ্যাসের (GHG) নির্গমনের কারণে হচ্ছে। গ্রীনহাউস গ্যাস যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂), মিথেন (CH₄), নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O), এবং ফ্লুরিনেটেড গ্যাস বায়ুমণ্ডলে জমা হয় এবং সূর্যের তাপকে আটকে রাখে, যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

  • বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন: বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা বৃষ্টিপাতের ধরণ পরিবর্তন করতে পারে এবং অস্বাভাবিক আবহাওয়ার সৃষ্টি করতে পারে।
  • মেরুপ্রদেশের বরফ গলন: মেরুপ্রদেশের বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে, যা সমুদ্রের পানির স্তর বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে। এর ফলে উপকূলীয় এলাকায় বন্যা এবং ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে যাচ্ছে।
  • জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি: অনেক প্রজাতি তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল হারাচ্ছে এবং বিপন্ন হয়ে পড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, উষ্ণতার ফলে মেরুর অঞ্চলের পোলার বিয়ারসহ অনেক প্রাণী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
  • মানব স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব: উষ্ণতার ফলে তাপদাহ বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেমন হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং তাপমাত্রাজনিত রোগ বৃদ্ধি পায়।

তাপমাত্রার পরিবর্তন ফসলের ফলন হ্রাস করতে পারে এবং কৃষির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে খাদ্য সুরক্ষা হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। বৈশ্বিক উষ্ণতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এর জন্য আমাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে.

পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার: সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি এবং জলবিদ্যুৎ ব্যবহার করে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করা।

  • বনায়ন: গাছপালা রোপণ এবং বন সংরক্ষণ করে কার্বন শোষণ বৃদ্ধি করা।
  • জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি: পরিবহন, শিল্প এবং বাসাবাড়িতে জ্বালানি দক্ষতা বাড়িয়ে কার্বন নির্গমন হ্রাস করা।
  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: প্যারিস চুক্তির মতো আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

মেরুপ্রদেশের বরফ গলছে কেন: মেরুপ্রদেশের বরফ গলার প্রধান কারণ বৈশ্বিক উষ্ণতা। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরুপ্রদেশের তুষার ও বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে। ১৯৮০ সালের পর থেকে আর্কটিকের বরফের পরিমাণ প্রতি দশকে গড়ে ১৩% হ্রাস পেয়েছে। গ্রীষ্মকালে আর্কটিকের বরফের আয়তন ১৯৭৯ সালের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এর প্রধান কারণ হল কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রীনহাউস গ্যাসের অত্যধিক নির্গমন।

আরও পড়ুন:  নীল অর্থনীতির সমুদ্র এবং মহাসাগর উন্নয়নে বাংলাদেশ

https://dakdiyejai.news/

মেরুপ্রদেশের বরফ গলার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯০১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে গড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছর ০.১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শতাব্দীতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়েছে এবং বিজ্ঞানীদের মতে, ২১০০ সালের মধ্যে এটি আরও ৬০ থেকে ১১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চল এবং নিচু এলাকার জনগণের জীবনযাত্রা হুমকির মুখে পড়বে।

বরফ গলার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রধান প্রভাবগুলো হল:

  • উপকূলীয় বন্যা: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেক উপকূলীয় শহর এবং গ্রাম প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে।
  • মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি: সমুদ্রের পানি ভূমির দিকে আসার ফলে মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পায়, যা কৃষিকাজ এবং মিঠা পানির উৎসের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
  • প্রকৃতি এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি: উপকূলীয় এলাকার বাস্তুতন্ত্র যেমন ম্যানগ্রোভ বন, সমুদ্র সৈকত, এবং প্রবাল প্রাচীরের ক্ষতি হয়, যা অনেক প্রজাতির আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে।
  • মানব বসতির ক্ষতি: নিচু এলাকার মানুষদের ঘরবাড়ি এবং জীবিকা হারানোর ঝুঁকি থাকে, যা মানব অভিবাসন এবং সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি মোকাবেলা করতে এবং মেরুপ্রদেশের বরফ গলা কমাতে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ: পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, জ্বালানি দক্ষতা উন্নত করা, এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো। গাছপালা রোপণ এবং বিদ্যমান বনাঞ্চল সংরক্ষণ করে কার্বন শোষণ বৃদ্ধি করা। বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলার জন্য প্যারিস চুক্তির মতো আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত জনগণের জন্য নিরাপদ এবং টেকসই অবকাঠামো গড়ে তোলা। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবেলা এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মেরুপ্রদেশের বরফ গলার ফলে সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানে মারাত্মক পরিবর্তন ঘটছে। অনেক সামুদ্রিক প্রাণী, যেমন পোলার বিয়ার, ওয়ালরাস, এবং বিভিন্ন ধরনের মাছ ও সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থান হারাচ্ছে। এছাড়া, সামুদ্রিক খাদ্য শৃঙ্খলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। মেরুপ্রদেশের বরফ গলার ফলে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জলবায়ুর চরমতা বাড়ছে। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে গ্রীষ্মকালে তাপদাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শীতকালে শৈত্যপ্রবাহের মাত্রা কমে যাচ্ছে। এর ফলে কৃষি, জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে।

আরও পড়ুন:  দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ

https://dakdiyejai.news/

পোলার বিয়ার এবং ওয়ালরাসের মতো প্রাণীরা বরফের উপর নির্ভর করে তাদের শিকার ধরে রাখার জন্য। বরফ গলার ফলে এদের খাবার সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে এবং অনেক পোলার বিয়ার খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছে। বরফ গলার ফলে সামুদ্রিক খাদ্য শৃঙ্খলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। পোষণ পর্যায়ের প্রাণীরা যেমন ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন এবং জুপ্ল্যাঙ্কটন তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করছে, যা বৃহত্তর সামুদ্রিক প্রাণীদের খাদ্যের উৎসকে প্রভাবিত করছে। কিছু মাছের প্রজাতি, যেমন কড এবং হ্যাডক, বরফ গলার ফলে তাদের স্বাভাবিক বাসস্থান পরিবর্তন করে ঠান্ডা জল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে, যা সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।

বরফ গলার ফলে সমুদ্রের রাসায়নিক গঠনে পরিবর্তন ঘটছে। এটি সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং কিছু প্রজাতির জন্য বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।

বরফ গলার কারণে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা এবং জলবায়ুর চরমতা বৃদ্ধির প্রভাবগুলি হল: তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ফসলের ফলন হ্রাস পায় এবং কৃষিকাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর ফলে খাদ্য সুরক্ষা হুমকির মুখে পড়ে। তাপদাহ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং তাপমাত্রাজনিত রোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসঙ্গে, শীতকালের শৈত্যপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে শীতকালীন রোগের প্রভাব কমছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলবায়ুর চরমতার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলা এবং মেরুপ্রদেশের বরফ গলা বন্ধ করতে হলে আমাদের কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে:

  • পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা: সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি এবং জলবিদ্যুৎ ব্যবহার করে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করা।
  • জলবায়ু নীতি অনুসরণ করা: প্যারিস চুক্তির মতো আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে কার্বন নির্গমন কমানো।
  • গাছপালা রোপণ এবং বন সংরক্ষণ করা: গাছপালা রোপণ এবং বিদ্যমান বনাঞ্চল সংরক্ষণ করে কার্বন শোষণ বৃদ্ধি করা।

https://dakdiyejai.news/

মেরুপ্রদেশের বরফ গলার অর্থনৈতিক প্রভাব ব্যাপক এবং বহুমুখী। বরফ গলার ফলে মেরুপ্রদেশে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান বাড়ছে, যা পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এছাড়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলীয় শহরগুলোতে বন্যার ঝুঁকি বাড়ছে, যা অবকাঠামো এবং বাস্তুসংস্থান ধ্বংস করতে পারে।

  • তেল গ্যাস অনুসন্ধান: বরফ গলার ফলে মেরুপ্রদেশে নতুন তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই অনুসন্ধান এবং নিষ্কাশন কার্যক্রম পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যেমন তেল ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এবং সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস।
  • বন্যা অবকাঠামোর ক্ষতি: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় শহরগুলোতে বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে সড়ক, সেতু, এবং ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বন্যার ফলে শহরের বাস্তুসংস্থান ধ্বংস হচ্ছে এবং মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটছে।
  • জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অর্থনৈতিক ক্ষতি: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন হারিকেন, সাইক্লোন, এবং বন্যার সংখ্যা ও তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ২১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
  • কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার উপর প্রভাব: তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলবায়ুর চরমতা কৃষির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ফসলের ফলন কমে যাচ্ছে এবং কৃষিকাজে বিঘ্ন ঘটছে, যা খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে। এর ফলে খাদ্যের দাম বেড়ে যায় এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়।
  • স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বৃদ্ধি: তাপদাহ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে জনস্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যা স্বাস্থ্য খাতে অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণ হচ্ছে। হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন, এবং অন্যান্য তাপমাত্রাজনিত রোগের চিকিৎসা খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • বীমা খাতের উপর চাপ: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বীমা খাতে চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে বীমা কোম্পানিগুলোকে বেশি ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হচ্ছে, যা বীমা খাতের উপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন:  জাবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

মেরুপ্রদেশের বরফ গলার অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলা করতে হলে আমাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে: পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার করে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান হ্রাস করা। উপকূলীয় শহরগুলোর অবকাঠামো সুরক্ষার জন্য উন্নত বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা। প্যারিস চুক্তির মতো আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসরণ করে কার্বন নির্গমন হ্রাস করা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য উন্নত পূর্বাভাস ব্যবস্থা এবং জরুরি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে আমরা মেরুপ্রদেশের বরফ গলার অর্থনৈতিক প্রভাব হ্রাস করতে এবং আমাদের পৃথিবীর ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *