অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাব আহ্বান

সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব আহ্বান করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রযোজক, পরিচালক ও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সোমবার (২৯ আগস্ট) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে উপসচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবছরের মতো এবারও সর্বোচ্চ দশটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও দশটি স্বল্পর্দৈঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান দেওয়া হবে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সংখ্যা বাড়তে পারে। অনুদানের ক্ষেত্রে সাহিত্যনির্ভর গল্প ও চিত্রনাট্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রথম চেকপ্রাপ্তির ৯ মাসের মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ছয় মাসের মধ্যে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নির্মাণকাজ সমাপ্ত করতে হবে।

কোনো প্রযোজককে পর পর দু’বার অনুদান দেওয়া হবে না। তবে একই প্রযোজক দ্বিতীয়বার অনুদান পাওয়ার পর চার বছর পার করে পুনরায় অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রযোজক সর্বোচ্চ তিনবারের বেশি অনুদান পাবেন না।

আরও পড়ুন:  সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আটক

এছাড়া পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র কমপক্ষে ২০টি সিনেমা হলে মুক্তি দিতে হবে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের চাহিদামতো চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শনের জন্য প্রযোজককে চলচ্চিত্র সরবরাহ করতে হবে।

চলচ্চিত্রশিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে প্রতিবছর সরকার এই অনুদান দিয়ে থাকে। ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা-২০২০ (সংশোধিত)’ অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান ২০ লাখ টাকা দিয়ে আসছে সরকার।

অনুদানপ্রাপ্তির লক্ষ্যে গল্প, চিত্রনাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাণের সার্বিক পরিকল্পনাসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ প্রস্তাব তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র-২ শাখায় পাঠাতে হবে। আগামী ৩১ অক্টোবর বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রস্তাব পাঠানোর শেষ সময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *