স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ গঠনে অক্লান্ত পরিশ্রম করছিলেন তখনই বাংলাদেশ বিরোধী চক্র দেশবিরোধী গুজব ও অপপ্রচার চালায়। সেই অপপ্রচারে ইন্ধন দেয় খুনিচক্র।
স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন বঙ্গবন্ধু।
১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এর মাত্র ২ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। তবুও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার থেমে থাকেনি।
১০ মাসের মধ্যেই জাতিকে উপহার দেন সংবিধান। এতো স্বল্প সময়ে সংবিধান প্রণয়ন করা বিশ্বে বিরল।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন জাতির পেতা। একাত্তরের নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের সামাজিক স্বীকৃতি দিতে উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু।
মাত্র সাড়ে তিন বছরে জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথসহ পৃথিবীর ১২৬টি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায় করেন শেখ মুজিব।
১৯৭৩ সালেই অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন । পর্যায়ক্রমে আয়োজন করা হয় স্থানীয় নির্বাচনও।
এত কিছুর পরও ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতার বিরুদ্ধে কলংক লেপনে ব্যস্ত ছিল। ১৫ আগষ্টের নির্মম হত্যাকা- জাতিকে চুড়ান্তভাবে কলংকিত করে।