তবে উত্তমের বিয়ের আসরের আয়োজনের কোনও ঘাটতি হতে দেননি তার আত্মীয়-স্বজনরা। উত্তম কুমারের ভাই তরুণ কুমার একেবারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিলেন। বন্ধুর বাবার থেকে বিদেশি গাড়ি ভাড়া থেকে বৌভাতে বন্ধুদের নিয়ে খাবার পরিবেশন- সব দায়িত্বই নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
গৌরীর সঙ্গে তরুণ কুমারের প্রথম থেকেই স্নেহের ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আর সেই কারণেই গৌরী তরুণ কুমারকে মাঝে মধ্যেই নিজের জীবনের নানা কথা শেয়ার করতেন। কথায় কথায়, তরুণ কুমারকেই জানিয়ে ছিলেন ফুলশয্যা রাতে পাওয়া বিশেষ উপহারের কথা।
বোন ও বউদিকে ট্রাঙ্কের পিছন থেকে বের করে উত্তম সোজা বলে উঠলেন, তোমরা আমার ফুলশয্যা দেখবে তো? বেশ আজ আমি জানলা-দরজা সব খুলে রাখছি। উত্তমের মুখে এমন কথা শোনামাত্রই বউদি আর বোন লজ্জায় ঘর থেকে দৌঁড়ে পালান। উত্তম যে বরাবরই খুব রসিক মানুষ ছিলেন, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এই ঘটনার মধ্যে দিয়েই। তবে এর পাশাপাশি উত্তম যে স্বামী হিসেবেও কর্তব্যপরায়ণ, তা গৌরীকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন প্রথম রাতেই।
ফুলশয্যার বিছানায় বসে, গৌরীর হাতে উত্তম তুলে দিলেন বানেশ্বর শিব লিঙ্গের একটি রূপা দিয়ে তৈরি গৌরীপট্ট। যা কিনা উত্তমের কাছে চেয়েছিলেন গৌরী। শিব ও এই গৌরীপট্ট সৃষ্টির প্রতীক, নারী-পুরুষের মিলনের রূপক। নিজেদের ভালোবাসাকে শিব-পাবর্তীর মতো অমর করে তুলতেই এমন উপহার চেয়েছিলেন গৌরী।







