ভারতের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারতের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। রোববার (২৯ নভেম্বর) বিকালে প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: পরিবর্তনশীল বিশ্বে একটি প্রাসঙ্গিক ভূমিকা নির্ধারণ’ শীর্ষক সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে যে পরিবর্তন হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতের তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগছে’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আশা করছি, দুদেশের মধ্যে ওয়ার্কিং রিলেশন দ্রুত স্বাভাবিক হবে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতে আছেন— সেটা জানলেও অফিসিয়াল কোনো তথ্য জানায়নি দিল্লি। তাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি।

আরও পড়ুন:  ভিসানীতি কঠোর করছে যুক্তরাজ্য

শেখ হাসিনা ইস্যুতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাকে ভারত ফেরত না দিলেও ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক আটকে থাকবে না। দণ্ডিত হওয়ায় তাকে দ্রুততম সময়ে ফেরত পাওয়ার প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।

বিগত সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, উষ্ণ সম্পর্ক ছিল ভারতের সঙ্গে। আপনারা কি এই কথা হলফ করে বলতে পারেন যে, বাংলাদেশের মানুষ এতে খুব সন্তুষ্ট ছিল কি না, যেই পর্যায়ে সম্পর্ক ছিল। আমার কাছে এবং আরও অনেকের কাছে মনে হয়েছে, উষ্ণ সম্পর্ক দুটি সরকারের মধ্যে ছিল। জনগণের ভূমিকা সেখানে অনেক কম ছিল। অনেক অভিযোগ থাকলেও তৎকালীন সরকার বিবেচনায় নেয়নি।

উপদেষ্টা বলেন, তিস্তার পানি ও সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা, ক্ষোভ বাংলাদেশের সবার ছিল। ভারতের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের যে সরকার ছিল ১৫ বছর, তারা এই দুটোর একটিরও কি কোনো সমাধান করতে পেরেছে? অর্থাৎ এই বাহ্যিক উষ্ণতা কোনো বিষয় না। বিষয় হচ্ছে, আমাদের স্বার্থ উদ্ধার হচ্ছিল কি না, হচ্ছিল না– স্পষ্টতই। কাজেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল, এটা আমি বলতে চাই না। ভারতের সঙ্গে এক ধরনের সম্পর্ক ছিল, গভীর ছিল সরকারের।

আরও পড়ুন:  তিতাসে ১৪০ পদে বড় নিয়োগ, বেতন ৯ম ও ১০ম গ্রেডে

সীমান্ত হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পৃথিবীর একমাত্র সীমান্ত, যেখানে যুদ্ধাবস্থা নেই তারপরও গুলি করে মানুষ মারা হয়। পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় কোনো সীমান্তে এরকম নেই। এটার কোনো সমাধান আমি আপাতত দেখতে পাচ্ছি না। সীমান্ত হত্যা হচ্ছে। আমরা নিন্দা করতে পারি, প্রতিবাদ করতে পারি, করে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *