ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া সেই জমজ ছয় নবজাতকের মধ্যে আরও একজন মারা গেছে। এ নিয়ে মোট পাঁচজন শিশু মারা গেল।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যায় ওই শিশুটি। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রিয়ার ননদ ফারজানা আক্তার।
ফারজানা জানান, বিকেলে আরও এক নবজাতক শিশু বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছে। সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনআইসিইউতে মারা যায় দুই নবজাতক। এবং রোববার রাতে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে মারা এক নবজাতক। জন্মের পরপরই একটি নবজাতক মারা গিয়েছিল।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে নোয়াখালীর সেনবাগের কাতার প্রবাসীর স্ত্রী মোকসেদা আক্তার প্রিয়া (২৩) তিন ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
ফারজানা আক্তার জানান, ৬ নবজাতকের মধ্যে ৩ জনকে ঢাকা মেডিকেলের এনআইসিএইচইতে আর বাকি ৩ জনকে বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে রাখা হয়েছিল। ঢাকা মেডিকেলে থাকা ২ নবজাতক আজ সকালে মারা গেছে। এবং গতরাতে বেসরকারি হাসপাতালে এক শিশু মারা গেছে। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যায় এক শিশু মারা। বর্তমানে এক শিশু বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে।
ফারজানা জানান, শিশুদের মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করতে এসেছি। শিশুদের মা প্রিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ফারাজানা জানান, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের কাতার প্রবাসী মো. হানিফের স্ত্রী প্রিয়া। প্রিয়ার গর্ভধারণের ২৭ সপ্তাহ চলছিল। এলাকাতেই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছিলেন। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জানতে পারেন, এক দুটি নয়; পাঁচ সন্তান গর্ভে রয়েছে তার।
তিনি জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে প্রিয়া নিজের বড় বোন লিপির বাসায় আসেন। সেখান থেকে মনোয়ারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সর্বশেষ গতরাতে ব্যথা শুরু হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলের এনে ভর্তি করা হয়। রোববার সকাল ৯টার দিকে ৫টি নয়, নরমালে ৬ সন্তান প্রসব করেন তিনি।







