চিন্ময় ইস্যুতে মোদির সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠক

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবি তুলে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অংশ টানা আন্দোলনে নেমেছে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ‘ইসকন নেতা’ হিসেবে পরিচিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আটকের পর ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তবে ভারত সরকার চিন্ময় ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এবার একই ইস্যুতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

এনডিটিভির প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। এর মধ্যে রয়েছে চলতি সপ্তাহে ‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার’ এবং ‘চট্টগ্রাম জেলার একটি মন্দির ভাঙচুর’।

বৈঠকের পর জয়শঙ্কর আগামীকাল শুক্রবার সংসদের উভয় কক্ষে এ বিষয়ে ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

আরও পড়ুন:  ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল’ সহ্য করবে না ভারত: নরেন্দ্র মোদি

এদিকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার এবং জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তার ও তাকে জামিন না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর ওপর উগ্রবাদীদের একাধিক হামলার পর তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটল। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ; একই সঙ্গে মন্দিরে চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’

ভারতের এমন বিবৃতির পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।’

আরও পড়ুন:  সম্পর্ক জোরদারে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে কাতারের আমির

‘আমরা অত্যন্ত হতাশা ও গভীর দুঃখের সঙ্গে উল্লেখ করছি যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর কিছু মহল ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। ভারতের এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু ভুল তথ্য ছড়ানো নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া চেতনার পরিপন্থি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *