গতকাল রবিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ) আয়োজিত ‘বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব মন্তব্য করেন।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, ‘আমেরিকার শুল্কনীতি ও শ্রমিক ইস্যুর জটিলতার কারণে রপ্তানি অর্ডারও প্রভাবিত হচ্ছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দল ক্ষমতায় এলে আমরা এলডিসি উত্তরণের সময় বাড়ানোর জন্য কাজ করব, যাতে ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতির সুযোগ পান।’ তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়ে ব্যাংক খাত থেকে কিছু ব্যবসায়ী অর্থ লুট করেছেন, যার ফলে আর্থিক খাত নাজুক হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের ‘ফিল গুড’ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে বিনিয়োগবান্ধব নীতি ও প্রশাসনিক সংস্কার জরুরি।’
খসরু আরো বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এলে বেসরকারি খাতনির্ভর প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানিবান্ধব অর্থনীতি গড়ে তুলব। এ জন্য অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ তুলে দিয়ে ব্যাবসায়িক প্রক্রিয়া সহজ করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
প্রেস সচিব উন্মাদের মতো কথা বলেন—বিটিএমএ সভাপতি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ‘উন্মাদের মতো কথা বলেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবুর মিটিংয়ের শিডিউল না পাওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, এখন পর্যন্ত বিজিএমইএ সভাপতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎ পেল না। তাহলে আপনি এ দায়িত্ব নিলেন কেন?’
তিনি আরো বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় যেসব খেলাধুলা হয়েছে, সেটা এখন আবার শুরু হয়েছে।’
প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে উদ্দেশ করে বিটিএমএ সভাপতি বলেন, ‘আমরা সবাই মরে যাচ্ছি, ফ্যাক্টরি বন্ধ হচ্ছে, মানুষ চাকরিচ্যুত হচ্ছে। আপনি কি দেখেন না এসব?’
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘যেখানে এয়ারপোর্ট পোড়ে, সেখানে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার দেবে নাকি? এর ইনটেনজিবল ক্ষতি অনেক বেশি।’ সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন দিয়ে আমাদের মুক্তি দিন।’
অনুষ্ঠানে বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবকে উদ্দেশ করে আরো বলেন, ‘তাঁর একটা পেজ (ফেসবুক পেজ) আছে, উল্টাপাল্টা কথা বলে মানুষকে বিব্রত করেন। সঠিক লোক যদি সঠিক জায়গায় না যায়, তাহলে সঠিক সিদ্ধান্তও হবে না।’







