শরীর দুর্বল লাগা, অতিরিক্ত ঘুম, ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হওয়া, ক্লান্তি বা আলসেমি– এগুলো সবই দুর্বলতার লক্ষণ। বিভিন্ন কারণে শরীরে ক্লান্তি বা অবসন্নতা আসতে পারে:

পানিশূন্যতা

শরীরে লবণের ঘাটতি বা পানিশূন্যতা ক্লান্তির একটি বড় কারণ। প্রতিদিন অন্তত ১০-১২ গ্লাস পানি পান করলে শরীর হালকা লাগবে। শরীরচর্চার আধা ঘণ্টা আগে দুই গ্লাস পানি পান করুন।

অনিদ্রা ও স্লিপ অ্যাপনিয়া

ঘুমের সমস্যা বা অনিদ্রা থেকে ক্লান্তি আসে। পূর্ণ বয়স্কদের প্রতি রাতে সাত-আট ঘণ্টা ঘুম হওয়া উচিত।

অ্যানিমিয়া (রক্তস্বল্পতা)

রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে অ্যানিমিয়া হয়, যা নারীদের ক্লান্তির অন্যতম কারণ। ঋতুস্রাবের সময় অধিক রক্তক্ষয় হলে আয়রনের ঘাটতি হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে আয়রন ট্যাবলেট এবং কলিজা, কচুশাক, লালশাকের মতো আয়রনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।

আরও পড়ুন:  আনন্দের খবর শুনলে রাসুল (সা.) যে কাজ করতেন

হাইপোথাইরয়েডিজম

থাইরয়েড গ্রন্থির হরমোন উৎপাদন কমে গেলে বিপাক প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে শরীরে শক্তি কম উৎপন্ন হয় এবং ঝিমুনি ভাব আসে।

ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিসের কারণে শরীর অবসন্ন ও শক্তিহীন হয়ে পড়ে। অল্পতেই ক্লান্তি বা ঝিমুনি ভাব এলে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করানো উচিত।

হৃদরোগ

স্বাভাবিক কাজকর্মে ক্লান্তি, শরীর দুর্বল হওয়া, বুক ধড়ফড় করা বা বুকে চাপ অনুভব করলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, হৃদরোগও ক্লান্তির উৎস হতে পারে।

খাবার গ্রহণে অনীহা

শরীরে পর্যাপ্ত জ্বালানির অভাবে ক্লান্তি ভর করে। অনেকক্ষণ না খেলে রক্তে সুগার কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে।

ক্লান্তির চিকিৎসা করার আগে এর মূল কারণ নির্ণয় করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা যায়।

আরও পড়ুন:  রোজা যেভাবে দেহমনের বিষাণু দূর করে

লেখক : ­ ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী. নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ, সিলেট এমএজি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *