কারাগারে জবি অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার চোখে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারা বেগমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এদিন তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক এ কে এম হাসান মাহমুদুল কবীর তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

এ সময়ে আসামিপক্ষে তাঁর আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন:  শিশুশ্রম বন্ধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিপরীত পাশে স্টার হোটেলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। এ সময় আসামিরা ছাত্রজনতার ওপর পরিকল্পিত হামলা ও মারধর করে। এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা চোখে গুলিবিদ্ধ হন। পরে দীর্ঘদিন ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী সুজন মোল্লা বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলাটি করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক, কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের ৯৪ জনসহ ১৯৩ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলার ৪৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি আনোয়ারা বেগম।

জানা যায়, বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকদের আপগ্রেডেশন বোর্ডে ওই শিক্ষক আনোয়ারা বেগমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মেজবাহ উল আজম সওদাগর বলেন, ‌‘আপগ্রেডেশন বোর্ডের নমিনি নির্ধারণ করেন রাষ্ট্রপতি। তাঁকে নমিনি থেকে বাদ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দিলেও এখনও পাস হয়নি। তাঁকে বিভাগ থেকে ডাকেনি। বোর্ড মিটিংয়ে ডাকার কোনো এখতিয়ার বিভাগের নেই। তাঁকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে ডাকা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:  শপথ নিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা

মামলার বাদী সুজন মোল্লা বলেন, ‘এদের মতো দলকানা শিক্ষকদের জন্য স্বৈরাচার আমলে শিক্ষক সমাজ কলঙ্কিত হয়েছে। উনি বলতেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যারা কাজ করে তারা রাজাকার। আর যেহেতু ছাত্রদল-শিবির আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাই এরা রাজাকার। তিনি পিএসসি’র সদস্য থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগ ছাড়া কাউকে বিসিএসের জন্য উত্তীর্ণ করতেন না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *