সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা, বাড়বে বৃষ্টি

বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে আগামী সোমবার (২৬ মে)। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সম্ভাব্য লঘুচাপটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় হলেও তা শক্তিশালী হ‌ওয়ার সম্ভাবনা কম। এর প্রভাবে তখন উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি বাড়তে পারে।

এদিকে বৃহস্পতিবার‌ (২২ মে) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটার বা বেশি) বর্ষণ‌ও হয়েছে। তবে আগামীকাল  শুক্রবার থেকে আবার দুই-তিনদিনের জন্য বৃষ্টি কম থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগামীকাল শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে।

আরও পড়ুন:  শনিবার তিন বিভাগে বৃষ্টির আভাস
এতে তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়তে পারে। দুই-তিনদিন কম থাকার পর আগামী ২৫ বা ২৬ মে থেকে আবার বৃষ্টি বাড়তে পারে। ২৬ মে (সোমবার) বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। মূলত এর প্রভাবে‌ই তখন বৃষ্টি বাড়তে পারে।
ওমর ফারুক জানান, সম্ভাব্য লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এমনকি তা ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় হলেও তা শক্তিশালী হ‌ওয়ার সম্ভাবনা কম। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি বাড়তে পারে।

এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এর প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবো: ড. ইউনূস

এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে আমরা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দিয়েছি। তবে অবস্থার উন্নতি হলে শুক্রবার সকাল বা বিকেল নাগাদ আবার সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে পারি আমরা।’

বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে, ১৪৫ মিলিমিটার। এছাড়া চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ১০২ মিলিমিটার, নোয়াখালীর হাতিয়ায় ৮৬ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ৮৪ মিলিমিটার ও পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় এসময় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে রাতের তাপমাত্রা।

আরও পড়ুন:  যেখানেই হাত দেই, সেখানেই দুর্নীতি: বিদ্যুৎ-জ্বালানি উপদেষ্টা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *