জুলাইয়ের বিপ্লবী কন্যাদের কথা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই উত্তাল আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেন এবং তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও দাবির কথা শোনেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয় ‘জুলাইয়ের কন্যারা… আমরা তোমাদের হারিয়ে যেতে দেব না’।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ অনেক উচ্ছ্বাসের দিন, ক্ষোভের দিন, ইমোশনের দিন। আজ সব একসঙ্গে প্রকাশ করার দিন। উচ্ছ্বাস আছে বলেই তো আমরা এখানে আছি। উচ্ছ্বাস-ক্ষোভ না থাকলে আমরা তো মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে পারতাম না। এগুলো আছে থাকবে। যখনই দরকার তখন প্রকাশ করব। যখন যেখানে যতটুকু দরকার ততটুকু প্রকাশ করব। সেই শক্তি যেন আমাদের থাকে।

আজ জুলাইয়ের বিপ্লবী কন্যাদের সাক্ষাৎ পেয়েছি, এটা আমার জন্য ঐতিহাসিক দিন এমন কথা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, তোমরা বাংলাদেশকে আজ যে পর্যায়ে নিয়ে গেছ সেটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এই ঐতিহাসিক ঘটনার যারা নায়িকা তাদেরকে আমি মনেপ্রাণে ধন্যবাদ জানাই।

আরও পড়ুন:  বাংলাদেশ থেকে আরো জনশক্তি নেবে ইতালি

তিনি বলেন, জুলাই মাসে বাংলাদেশে যেটা হয়ে গেল এটার নজির পৃথিবীর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। পৃথিবীতে বহু অভ্যুত্থান হয়েছে কিন্তু এটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের। এটা ছিল তোমাদের নিজের হাতে গড়া একটা জিনিস। এখানে কোনো বড় নেতা এসে হুকুম দেয়নি। তোমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছ।

ড. ইউনূস বলেন, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-কর্মজীবী মেয়ে এমনকি বাসায় থাকে.. যে যেখানে থাকে সেখান থেকে এসে এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে এবং সমানভাবে এগিয়ে এসেছে। এটা বাংলাদেশকে একেবারে পরিবর্তন করে দিয়েছে। ফলে ৫ আগস্টের আগের বাংলাদেশ আর নেই। এটা নতুন বাংলাদেশ। নতুন এই বাংলাদেশ আমরা গড়ব। দেশ বদলানোর যে প্রতিজ্ঞা তোমরা নিয়েছ সেটা ধরে রাখবা।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের কীর্তিগাথা ও অবদানকে উপজীব্য করে ‘জুলাইয়ের কন্যারা… আমরা তোমাদের হারিয়ে যেতে দেব না’ শীর্ষক এ নারী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  শাহবাগে অবস্থান ছাত্র-জনতার

জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী নারীরাও আয়োজনে অংশ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *