ঢাকায় আসার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা জানালেন শর্মিলা ঠাকুর

জমকালো আয়োজনে শনিবার বিকেলে রাজধানীতে পর্দা উঠেছে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। অনুষ্ঠানে মধ্যমণি ছিলেন ভারতের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। উৎসবের এশিয়ান চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগের জুরির দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে রোমাঞ্চকর ঢাকা সফরের কথা তুলে ধরেছেন শর্মিলা ঠাকুর।

তিনি বলেন, আমি এই সুন্দর শহর ঢাকায় এসে খুবই খুশি। তবে এই সুন্দর শহরে আসা প্রায় বাতিল হতে বসেছিল! গতকাল (শুক্রবার) যখন আমি দিল্লি বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম, আমাকে বলা হলো কুয়াশার কারণে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বাইরে তখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। পরবর্তী ফ্লাইট ছিল আজকে; যদি পরের এই ফ্লাইট ধরতাম, তাহলে আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারতাম না। পরে বাংলাদেশ বিমানের সহযোগিতায় ঢাকায় আসতে পেরেছি। একটা অ্যাডভেঞ্চার দিয়ে জার্নিটা শুরু হয়েছিল।

আরও পড়ুন:  আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেফতার আ.লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন

ঢাকায় আসার পরের অ্যাডভেঞ্চারের বর্ণনায় শর্মিলা ঠাকুর বলেছেন, আমাকে উৎসবের পরিচালক বলেছেন, হোটেল থেকে ভেন্যু হেঁটে গেলে মাত্র দুই মিনিট, আর গাড়িতে পাঁচ মিনিট। কিন্তু কোনো কারণে আমরা একটা ভুল মোড় নিয়ে ফেলি। যার কারণে আমরা প্রায় ৩৫ মিনিট দেরিতে পৌঁছালাম। এটা একরকম অ্যাডভেঞ্চারই ছিল। ঢাকার কিছু রূপও দেখা হয়ে গেল।

হাসিমাখা মুখে ঘটনাগুলো যখন বলছিলেন শর্মিলা, তখন তার কাছে একটি আরজি রাখেন ঢাকা উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল। অনুরোধটা বাংলায় কথা বলার। কিন্তু বিনয়ের সঙ্গেই সেটা ফিরিয়ে দেন অভিনেত্রী।

শর্মিলা ঠাকুরের ভাষ্য, আমি বাংলায় কেন বলব, এটা তো আন্তর্জাতিক উৎসব। আর সবাই জানে, আমি বাংলা বলতে জানি। ইংরেজি তো আন্তর্জাতিক ভাষা, সবাই বোঝে। প্লিজ মাফ করবেন।

আরও পড়ুন:  ”বড়” বনাম “ভালো”-আবু এন এম ওয়াহিদ

এরপর ইংরেজি-বাংলার মিশেলেই বাকি বক্তব্য সারেন শর্মিলা। প্রশংসা করেন উদ্বোধনী আয়োজনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার। সেই সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন উৎসবের স্লোগানের সঙ্গে। সবশেষে জানান, উৎসবের সমাপনী দিনে বাংলায় দীর্ঘ বক্তব্য দেবেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *